Skip to main content

হেয়ার গ্রোথ হচ্ছে না? সায়েন্টিফিক ১০টি উপায়ে হোক সল্যুশন!

লম্বা ঘন কালো চুলের জন্য আমরা কত কিছুই না করি। চুল বড় করার জন্য কেউ ব্যবহার করে হেয়ার প্যাক, আবার কারো পছন্দ বিভিন্ন হেয়ার ট্রিটমেন্ট। কিন্তু এতকিছু করেও হেয়ার গ্রোথ যেন মনের মতো হয় না। এর অবশ্য কিছু কারণ রয়েছে। চুল বৃদ্ধির প্রক্রিয়াটি মূলত অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। আজকের আর্টিকেল থেকে চলুন জেনে নেই সেই প্রক্রিয়াগুলো কী কী এবং নতুন চুল গজানোর জন্য কী কী উপায় মেনে চলা যায়।

কোন কোন বিষয়ের উপর হেয়ার গ্রোথ ডিপেন্ড করে?

স্ক্যাল্পের নিচে অবস্থিত ফলিকল থেকে চুল উৎপন্ন হয়। ফলিকলের গোড়ায় থাকা রক্তনালীগুলো চুলে পুষ্টি সরবরাহ করে। সাধারণত হেয়ার গ্রোথ মেথডের চারটি ধাপ রয়েছে। সেগুলো হলো- অ্যানাজেন, ক্যাটাজেন, টেলোজেন ও অ্যাক্সোজেন। এই চারটি মেথডের যে কোনো একটি মেথড মেনে আপনার চুলের বৃদ্ধি হয়। কীভাবে হেয়ার গ্রোথ হতে পারে সেটা নিয়ে বিজ্ঞানীরাও গবেষণা করে যাচ্ছেন। গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে দারুণ কিছু উপায়ও। চলুন জেনে নেই কোন সে উপায়গুলো-

হেয়ার গ্রোথ বাড়ানোর কয়েকটি উপায়

১) স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করা

হেয়ার গ্রোথ বাড়াতে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ

চুলের বৃদ্ধি হওয়া এবং চুল সুন্দর রাখার অন্যতম শর্ত হচ্ছে স্ক্যাল্পে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকা। এ জন্য স্ক্যাল্প ম্যাসাজ খুবই জরুরি। নিয়মিত ম্যাসাজ ফলিকলকে স্টিমুলেট করে চুলকে স্ট্রং করে। নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েলের সাথে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল অথবা পেপারমিন্ট অ্যাসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়ে অল্প আঁচে তেল গরম করে স্ক্যাল্পে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। চুলে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।

২) চুলের আগা কাটা

চুলের আগা ফাটা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। নিয়মিত চুল ট্রিম করলে এই সমস্যা কমানো সম্ভব। এছাড়া নিয়মিত আগা কাটা হেয়ার গ্রোথ বাড়ায়। নিয়মিত ট্রিম করার পাশাপাশি ঘরোয়া হেয়ার প্যাক ব্যবহার করলেও আগা ফাটা সমস্যা দূর করা সম্ভব।

৩) কন্ডিশনার ব্যবহার করা

শ্যাম্পুর পর অনেকেই কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না। প্রতিবার শ্যাম্পু করার সময় চুল থেকে আমাদের ন্যাচারাল অয়েল কমে যায়। তাই শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। কন্ডিশনার ড্যামেজ হেয়ার রিপেয়ার করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু চুল শুষ্ক ও দুর্বল করে। চেষ্টা করুন সপ্তাহে দুইবারের বেশি শ্যাম্পু ব্যবহার না করার।

৪) ডিমের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করা

চুলের অন্যতম উপাদান কেরাটিন, প্রোটিন থেকে তৈরি। প্রোটিনের অন্যতম উৎস ডিম আর এটি চুলের ফলিকলকে মজবুত করে। চুলের রুক্ষতা দূর করতেও হেল্প করে ডিম। একটি পাত্রে ডিমের সাদা অংশ ভালো করে ফেটে নিন। এর সাথে টকদই মেশান। এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

হেয়ার প্যাক

৫) শক্ত করে চুল না বাঁধা

চুল শক্ত করে বাঁধা চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর। টাইট করে বেনী বা পনিটেইল করার কারণে চুল ভেঙে যেতে পারে। তাই কিছুটা হালকা করে চুল বাঁধা উচিত। একইরকম হেয়ার স্টাইল না করে ভিন্ন ভিন্ন হেয়ার স্টাইলে চুলকে অভ্যস্ত করুন। এতে চুল সুস্থ ও সুন্দর থাকবে।

৬) ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করা

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ইনফ্ল্যামেশনের সাথে লড়াই করে এবং চুল পড়া রোধ করে। এটি স্ক্যাল্প সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে। সামুদ্রিক মাছ, আখরোটে প্রচুর পরিমাণে এই উপাদানটি রয়েছে। এছাড়া ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট খেলেও হেয়ার গ্রোথ হতে হেল্প করবে।

৭) খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সি রাখা

চুল পড়ার অন্যতম আরেকটি কারণ হলো আয়রনের অভাব। ভিটামিন সি, আয়রনের অভাব দূর করে চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার রাখুন।

৮) বায়োটিন গ্রহণ করা

বায়োটিন নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। গরুর কলিজা, সয়াবিন, শাক সবজি নিয়মিত খেলে বায়োটিনের অভাব পূরণ হয়।

৯) পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা

পানি কম পান করা হলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এতে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যায়। আর শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে চুল পড়া বেড়ে যায়। তাই প্রতিদিন ২/৩ লিটার পানি পান করা উচিত।

চুল আঁচড়ানো

১০) নিয়মিত চুল আঁচড়ানো

অনেকে চিরুনি দিয়ে খুব জোরে জোরে চুল আঁচড়ান। এতে চুল ভেঙে চিরুনিতে চলে আসে। তাই চুল আঁচড়ানোর সময় কিছুটা ধীরে এবং বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন।

আরও কিছু টিপস

১। কার্বোহাইড্রেট ও হাই সুগার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

২। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন।

৩। প্রতিদিনের খাবারে ডিম, ডাল, বাদাম, স্যামন অথবা অন্য কোনো সামুদ্রিক মাছ রাখুন।

৪। প্রতিদিন চুল শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকুন।

৫। অতিরিক্ত কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

৬। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার হেয়ার প্যাক ব্যবহার করার ট্রাই করুন।

 

এই তো জেনে নিলেন হেয়ার গ্রোথ বাড়ানোর সায়েন্টিফিক কয়েকটি উপায় সম্পর্কে। হেয়ার কেয়ারের যে কোনো অথেনটিক প্রোডাক্ট পেয়ে যাবেন সাজগোজে। এছাড়া অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম অথবা সাজগোজের চারটি আউটলেট যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার এবং উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) থেকেও আপনার পছন্দের হেয়ার ও স্কিন কেয়ার, মেকআপের যে কোনো প্রোডাক্ট কিনতে পারেন।

ছবিঃ সাজগোজ

The post হেয়ার গ্রোথ হচ্ছে না? সায়েন্টিফিক ১০টি উপায়ে হোক সল্যুশন! appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/KbZrQpR
Arfatun Nabila

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

Uttara Lake View Specialized Hospital

Uttara Lake View Specialized Hospital Address: Address: House#34, Road# 5A/10B, Sector#11, Uttara, Dhaka, 1230 Phone:  01813-904080 Available Services: 24 hours emergency service Self-contained ICU NICU HDU Cabin General Ward Corona Unit Chamber of Specialist Doctors. Also, all units are open including any complex operation. from Specialist Doctor List https://ift.tt/GFQ56KdRb via IFTTT