Skip to main content

কালার করা চুলের জন্য কেমন হবে হেয়ার কেয়ার রুটিন?

চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে হেয়ার কালার বা হেয়ার হাইলাইট করার ট্রেন্ড বেশ আগে থেকেই চলে আসছে। স্টাইলের জন্য হোক অথবা পাকা চুল ঢাকতেই হোক, হেয়ার কালার করা এখন বেশ জনপ্রিয়। টিনেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষ তাদের হেয়ারকে আরো স্টাইলিশ করে তুলতে বিভিন্ন কালার শেড যেমন ক্যারামেল, ব্লন্ড, ব্রাউন, অম্ব্রেসহ বিভিন্ন ফাংকি কালার যেমন, লাল, নীল ইত্যাদি বেছে নিচ্ছেন। হেয়ার কালারের পর দেখতে বেশ সুন্দর লাগলেও মেনটেইন করা কিন্তু বেশ কঠিন। কারণ এর জন্য প্রয়োজন আলাদা রুটিনের। আজকের আর্টিকেলে জানাবো কালার করা চুলের জন্য হেয়ার কেয়ার রুটিন কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে।

কালার করা চুলের যত্ন

কালার করা চুলের জন্য কেন যত্নের প্রয়োজন?

চুল কালার করার পর বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়। কারণ হেয়ার কালার করলে চুলের বাইরের কিউটিকল কালারড হয়ে যায়, এর ফলে আমাদের চুলের ন্যাচারাল অয়েল বা সিবাম হেয়ার স্ট্র্যান্ডে পৌঁছায় না। তাই চুলের প্রোপারলি যত্ন না নিলে আপনার চুল হয়ে যাবে ড্রাই অ্যান্ড ফ্রিজি। আর খুব দ্রুত কালারও নষ্ট হয়ে যাবে৷ কিন্তু অনেকেই জানেন না কালারড হেয়ারের যত্নে কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, নরমাল চুলের জন্য যেরকম যত্ন নেওয়া হয়, কালার করা চুলের যত্নে তার চেয়ে বেশ আলাদা। এ ধরনের চুলে সব সময় আলাদা প্রোডাক্টস আর এক্সট্রা কেয়ার প্রয়োজন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, কালারড হেয়ার যত্নের খুঁটিনাটি৷

কেমন হবে কালার করা চুলের হেয়ার কেয়ার রুটিন?

১) শ্যাম্পু সিলেকশন

যখন যেই শ্যাম্পু হাতের কাছে পাচ্ছি তখন সেটাই লাগিয়ে নিচ্ছি, এমন করলে কিন্তু একদম হবে না৷ কালার করা চুলের জন্য আলাদা কিছু শ্যাম্পু আছে যেগুলো আপনার কালার নষ্ট হতে দিবে না আর চুলকে রাখবে সফট, ম্যানেজেবল। তাই শ্যাম্পু সিলেকশনে দিতে হবে এক্সট্রা অ্যাটেনশন।

২) কন্ডিশনার

শ্যাম্পু করার ফলে চুলের ন্যাচারাল অয়েল রিমুভ হয়ে যায়, তাই চুলের ময়েশ্চার লক করার জন্য প্রতিবার শ্যাম্পুর পর চুলে কন্ডিশনার দেওয়া একদম মাস্ট। কালার চুলে ঠিকমতো কন্ডিশনার অ্যাপ্লাই করলে সেটা রাফনেস কমিয়ে আনে। এছাড়া সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির কারণে চুলের কালার ফেইড হতে থাকে। কালার ট্রিটেড কন্ডিশনার সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে চুলকে রক্ষা করে। এতে চুল থাকবে ঝলমলে ও সুন্দর। কালারড হেয়ারের জন্য পার্পল শ্যাম্পু, পার্পল কন্ডিশনার খুব ভালো অপশন।

অয়েল ম্যাসাজ

৩) অয়েল ম্যাসাজ

কোকোনাট অয়েল সব ধরনের চুলের জন্য বেস্ট অপশন। স্পেশালি ড্রাই, ড্যামেজড আর কালার ট্রিটেড হেয়ারের জন্য। হেয়ার কালারের কেমিক্যাল চুলকে ড্রাই করে ফেলে। কোকোনাট অয়েল সেই ড্রাইনেস কমিয়ে চুলকে হাইড্রেট ও নারিশড করে। হেয়ার গ্রোথ বৃদ্ধি করে, ড্যামেজ রিপেয়ার করে এবং চুলের কালার নষ্ট হতে দেয় না৷ তাই কালার ট্রিটেড হেয়ারে নিয়মিত কোকোনাট অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে।

৪) হেয়ার প্যাক

শ্যাম্পু, তেল এর পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন হেয়ারপ্যাক ব্যবহারে আপনার চুল পাবে এক্সট্রা পুষ্টি। কালার করা চুলের যত্নে আপনাদের সাথে একটি হেয়ার প্যাক শেয়ার করবো, যেটি আপনার চুলের গ্রোথ বৃদ্ধির সাথে সাথে চুলকে রাখবে হেলদি।

ডিম, মধু ও অলিভ অয়েল এর হেয়ার প্যাক

এই হেয়ারপ্যাক বানাতে প্রয়োজন একটা ডিম, মধু আর অলিভ অয়েল। চুল অনেক লম্বা হলে দুটি ডিম নিতে পারেন৷ সব উপকরণ ভালোভাবে মিক্স করে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে একটা শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ৩৫-৪০ মিনিট পর কালার প্রোটেক্ট একটি শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন এবং কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন৷ প্রথমবার ব্যবহারের পরই নিজের চুলের পরিবর্তন নিজেই বুঝতে পারবেন৷

হেয়ার প্যাক

৫) হেয়ার এসেন্স

হেয়ার এসেন্স আপনার চুলকে রাখবে সফট, ম্যানেজেবল, শাইনি আর ফ্রিজ ফ্রি। তাই আপনার কালারড হেয়ারকে ম্যানেজেবল রাখতে হেয়ার কেয়ারে রাখতে পারেন একটা হেয়ার এসেন্স। এসেন্স এর ক্ষেত্রে আরগান অয়েল যুক্ত এসেন্স হতে পারে আপনার চুলের জন্য গ্রেট অপশন৷ আরগান অয়েল চুলের ব্রেকেজ আর আগা ফাটা কমিয়ে চুলে লিভ ইন কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে।

উপরের ৫ টি স্টেপ এ যদি নিয়মিত আপনার কালারড হেয়ারের যত্ন নিতে পারেন তাহলে আপনার চুল একদমই ড্যামেজ হবে না। চুল থাকবে অনেক সুন্দর আর হেলদি।

এক্সট্রা টিপস

১) চুল আঁচড়াতে মোটা দাঁতের কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন।

২) চুল ঘষে ঘষে শ্যাম্পু করবেন না বা জোরে ঘষে মুছবেন না। খুব আলতোভাবে পুরাতন টি-শার্ট দিয়ে ভেজা চুল পেঁচিয়ে রাখবেন।

৩) চুল সফট রাখতে সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করুন।

এই তো জেনে নিলেন কালার করা চুলের হেয়ার কেয়ার রুটিন সম্পর্কে। হেয়ার কেয়ার, স্কিন কেয়ার ও মেকআপের জন্য অথেনটিক সব প্রোডাক্টস পেয়ে যাবেন সাজগোজে। সাজগোজের চারটি শপ রয়েছে। শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার এবং উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) এ অবস্থিত। আপনার পছন্দের প্রোডাক্টগুলো সরাসরি এই শপগুলো থেকে অথবা অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন।

ছবিঃ সাজগোজ

The post কালার করা চুলের জন্য কেমন হবে হেয়ার কেয়ার রুটিন? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/3NnHgzV
Arfatun Nabila

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

Dr. Fariah Sharmeen - Woman Oncology Specialist

Dr. Fariah Sharmeen Specialty - Associate Consultant, Oncology Degree - MBBS, FCPS (Radiotherapy) Chamber: SQUARE Hospitals Ltd. Dhaka Address: 18/F Bir Uttam Qazi Nuruzzaman Sarak, West Panthapath, Dhaka - 1205, Bangladesh Call For Appointment 10616 Call Now About: Dr. Fariah Sharmeen successfully completed her MBBS from Cumilla Medical College, and subsequently completed a one-year internship at BIRDEM Hospital, Dhaka. After completing of the internship, she started her post-graduate training in Medical Oncology at the National Institute of Cancer Research & Hospital. She started her fellowship in Radiotherapy in 2010. She completed 4 years of training at the National Institute of Cancer Research & Hospital on External Beam Radiotherapy Planning and Brachytherapy. She achieved FCPS in Radiotherapy from the Bangladesh College of Physicians & Surgeons (BCPS) in 2015. She has obtained several hands-on pieces of training on Head - Neck, Lung, Genitourina...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...