Skip to main content

ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজেশন | মেকআপ করার কিছুক্ষণ পরই ডার্ক দেখায় কেন?

খুব সুন্দর করে সেজেগুজে বাইরে বের হলেন, কিছুক্ষণ পরই দেখলেন যে পুরো ফেইস অয়েলি দেখাচ্ছে আর ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজ হয়ে অবস্থা একদম খারাপ! বাইরে এমনিতে গরম, এই ওয়েদারে মেকআপ পারফেক্টলি সেট রাখাটা একটু টাফ। কিন্তু স্কিন প্রিপারেশনের সময় কিছু স্টেপস ফলো করলে এই ধরনের প্রবলেম থেকে রিলিফ পেতে পারেন ইজিলি! মেকআপ করার কিছুক্ষণ পরই স্কিন অয়েলি আর কালো হয়ে যাওয়ার সমস্যা যদি আপনিও ফেইস করেন, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজেশন প্রিভেন্ট করার টিপস নিয়েই আজকের ফিচার।

কেন হয় ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজেশন?

একটু সহজ করে বলি বিষয়টা। যখন ফাউন্ডেশনের পিগমেন্ট ও স্কিনের ন্যাচারাল অয়েল বাতাসের অক্সিজেনের সাথে রিঅ্যাক্ট করে তখনই ফেইস কালচে হয়ে যায়। আর এটাকে বলে ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজেশন। এটার জন্য মূলত দায়ী হচ্ছে পিগমেন্ট ও অয়েল। স্কিনের টেক্সচার, সেবাম প্রোডাকশন, ফাউন্ডেশনের ফর্মুলা, মেকআপ অ্যাপ্লাইয়ের টেকনিক সবই আসলে এর সাথে রিলেটেড। মেকআপ করার কিছুক্ষণ পরই স্কিন অয়েলি আর কালো যাতে না হয়, সেই টিপস অ্যান্ড ট্রিকস শেয়ার করবো আজ।

মেকআপের আগে স্কিন প্রিপারেশন

ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজেশন প্রিভেন্ট করতে প্রথমে স্কিনকে তৈরি করে নিতে হবে। দেখে নিন মেকআপের আগে বেসিক স্কিন কেয়ার কীভাবে করা যায়।

১) প্রথমে ক্লেনজার দিয়ে ফেইস ভালোভাবে ক্লিন করে নিন। অয়েলি স্কিনের জন্য এমন ক্লেনজার বা ফেইস ওয়াশ সিলেক্ট করতে হবে যা স্কিনের এক্সেস সেবাম প্রোডাকশন কন্ট্রোল করবে।

২) এবার স্কিনের কনসার্ন ও টাইপ বুঝে টোনার অ্যাপ্লাই করতে হবে। স্কিন ব্যারিয়ার স্মুথ রাখতে, হাইড্রেশন ধরে রাখতে ও ত্বকের পি এইচ লেভেল ব্যালেন্স করতে এই স্টেপটি খুবই জরুরি।

৩) এবার জেল বেইজড ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই না করে সরাসরি মেকআপ প্রোডাক্টস ইউজ করলে বেইজ স্মুথ হয় না, মেকআপের পর স্কিন রুক্ষ-শুষ্ক দেখায়।

ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজেশন প্রিভেন্ট করতে মেকআপ টেকনিক

ড্রাই স্কিনের তুলনায় অয়েলি স্কিনে এই সমস্যাটা বেশি হয়। স্কিনের অয়েলিনেস বা চিটচিটেভাব যদি কন্ট্রোল করতে পারেন, তাহলে এই প্রবলেমটা খুব সহজেই ফিক্স করতে পারবেন। এই জন্য রাইট মেকআপ প্রোডাক্ট সিলেক্ট করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার স্কিন টাইপ যদি অয়েলি হয়, আর সেই সাথে আপনার ফাউন্ডেশনটি হাইলি পিগমেন্টেড, ডিউয়ি ও অয়েল বেইজড হলে গরমে সেটা অক্সিডাইজ করবেই। তাই ত্বকের ধরন বুঝে ঠিকঠাক প্রোডাক্ট বেছে নিন।

 

১) প্রাইমার স্কিপ করা যাবে না

এই অ্যাসেনশিয়াল স্টেপটা অনেকেই বাদ দেন। স্মুথ ও লং লাস্টিং বেইজ মেকআপের জন্য আপনাকে প্রথমে প্রাইমার অ্যাপ্লাই করতে হবে। যাদের ওপেন পোরসের ভিজিবিলিটি আছে, তারা পোর মিনিমাইজিং প্রাইমার দিতে পারেন। আর যাদের টি-জোন এক্সেস অয়েলি, তারা এই এরিয়াতে ম্যাটিফায়িং প্রাইমার ইউজ করবেন।

২) স্কিন টাইপ বুঝে সঠিক ফাউন্ডেশন সিলেক্ট করতে হবে

অনেক সময় দেখা যায় যে কোনো ফাউন্ডেশন একজনের স্কিনে অক্সিডাইজ করলেও অন্যজনের ক্ষেত্রে অক্সিডাইজ করে না! এর কারণটা হচ্ছে একেক জনের স্কিনের ধরন, সেবাম প্রোডাকশন, স্কিনের টেক্সচার একেক রকমের হয়। আপনার স্কিন যদি অয়েলি হয়, সেক্ষেত্রে ওয়াটার বেইজড ম্যাট ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করবেন। আর ড্রাই স্কিন হলে হাইড্রেটিং ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা ভালো। তবে গরমের দিনে বাইরের কড়া রোদে যেহেতু ফাউন্ডেশনের পিগমেন্ট রিঅ্যাক্ট করে, তাই লাইট পিগমেন্টেড সিসি ক্রিম বা বিবি ক্রিম ইউজ করতে পারেন।

৩) ব্লটিং পেপার বা টিস্যু দিয়ে টাচ আপ দিন

ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করার পর ব্লটিং বা টিস্যু পেপার দিয়ে ফেইসে হালকা করে প্রেস করুন। এটি ত্বকের অতিরিক্ত প্রোডাক্ট বা সেবাম শুষে নেয়, এতে ফেইস অনেকক্ষণ অয়েল ফ্রি থাকে। এতে ফাউন্ডেশনের সাথে অয়েল মিক্স হয়ে অক্সিডাইজ হওয়ার চান্স অনেকটা কমে যায়।

৪) লুজ পাউডার দিয়ে মেকআপ সেট করুন

অয়েল কন্ট্রোল করে লং লাস্টিং ফ্ললেস ফিনিশিং পেতে অবশ্যই লুজ পাউডার দিয়ে মেকআপ সেট করুন। পাউডার ব্রাশের সাহায্যে ফেইসের টি-জোনে পাউডার ডাস্টিং করে নিতে পারেন। চাইলে ভেজা বিউটি ব্লেন্ডার দিয়ে মেকআপ বেকিংও করে নিতে পারেন। বাইরে বের হলে ফেইস যদি অয়েলি দেখায়, সাথে সাথে টিস্যু পেপার দিয়ে প্রেস করে নিন ও পাউডার দিয়ে হালকা টাচ আপ করুন।

 

এই স্টেপগুলো ফলো করলে ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজেশন প্রিভেন্ট করা যাবে খুব সহজে। টোটাল মেকআপ লুককে সোয়েট প্রুফ ও লং লাস্টিং করতে শেষে মেকআপ সেটিং স্প্রে দিতে পারেন। আশা করছি, আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য হেল্পফুল ছিল। অনলাইনে অথেনটিক মেকআপ প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

 

ছবি- সাজগোজ

The post ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজেশন | মেকআপ করার কিছুক্ষণ পরই ডার্ক দেখায় কেন? appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/Hu5rNiK
Munia

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...