Skip to main content

দই কাবাব

‘কাবাব’ নামটি শুনলেই সবার আগে মনে হয় মাছ অথবা মাংসের কথা। গরম গরম বিরিয়ানি, পোলাও অথবা খিচুড়ি, সব কিছুর সাথেই কাবাব বেশ ভালো জমে। আবার খাবার শেষে হয়তো দই দিয়ে বানানো কোনো ডেজার্ট বা ড্রিংকস থাকে। কেমন হয়, যদি দই দিয়ে বানানো আইটেমটা খাবারের শুরুতেই থাকে? বলছিলাম, দই কাবাব এর কথা। দই দিয়ে বানানো এই কাবাবটি বাহির থেকে ক্রিসপি, ভেতরে একদম সফট। যে কোনো ঘরোয়া আয়োজন, উৎসব বা অনুষ্ঠানে এই আইটেমটি খাবারে যোগ করবে ভিন্ন মাত্রা। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেই দই কাবাবের রেসিপিটি।

দই কাবাব বানাতে যা যা লাগবে

  • ২ কাপ টক দই
  • ১/৩ কাপ পনির (ভেঙে গুঁড়ো করে নেওয়া)
  • ১/২ কাপ পাউরুটির গুঁড়ো
  • ১/৪ কাপ পেঁয়াজ কুঁচি
  • ১/২ চা চামচ আদা বাটা
  • ১/২ চা চামচ রসুন বাটা
  • ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুঁচি
  • ২/৩টি কাঁচা মরিচ কুঁচি
  • ১ চা চামচ গরম মশলা
  • ১ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুঁচি
  • ২ টেবিল চামচ রোস্টেড বেসন (শুকনো কড়াইতে নেড়ে নেওয়া)
  • লবণ স্বাদমতো
  • কাজু ও কাঠবাদাম ৮/১০ টি (ছোট করে কেটে নেওয়া)

যেভাবে বানাবেন

১। দই কাবাব বানানোর জন্য দই থেকে আগে পানি বের করে নিতে হবে। আগের রাতে একটি পাতলা কাপড়ে বেঁধে কয়েক ঘন্টা দই ঝুলিয়ে রেখে দিন। কাপড়ের নিচে একটি বাটি রাখুন। সকালে দইয়ের পানি সেই বাটিতে জমে যাবে। এবার এই পানি ঝরানো দই দিয়েই বানিয়ে নিতে হবে কাবাব।

২। দই ও পনির একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন।

দই কাবাব

৩। এই মিশ্রণে এবার একে একে বাদাম, পেঁয়াজ কুঁচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, মরিচ কুঁচি, ধনেপাতা কুঁচি, গরম মসলা, লবণ, বেসন ও পাউরুটি গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। কিছুটা পাউরুটি গুঁড়ো আলাদা রেখে দিন।

৪। ভালো করে মাখানো হয়ে গেলে মিশ্রণটি দিয়ে গোল ও চ্যাপ্টা ধরনের টিকিয়া বানিয়ে নিন।

৫। এবার টিকিয়াগুলো রেখে দেওয়া পাউরুটির গুঁড়োতে গড়িয়ে নিন।

৬। এবার গরম ডুবো তেলে কাবাবগুলো ভেজে নিন। ভাজার সময় খেয়াল রাখতে হবে তেলে যেন কাবাবগুলো বেশি ভাজা না হয়। এতে দই গলে বেরিয়ে আসতে পারে। এক পাশ হয়ে গেলে অন্য পাশ উল্টে দিন। গাঢ় সোনালি রং হয়ে এলে তুলে নিন।

এই তো জেনে নিলেন, ভিন্ন স্বাদের মজাদার দই কাবাব বানানোর রেসিপিটি। ধনেপাতা বা পুদিনার চাটনি দিয়ে গরম গরম তো খাওয়া যাবেই, পোলাও, বিরিয়ানি বা খিচুড়ির সাথেও নতুন স্বাদ যুক্ত করবে এই দই কাবাব। ঘরোয়া আয়োজনগুলোতে একটু ভিন্ন স্বাদের খাবার কিন্তু পরিবেশনেও আনে নতুনত্ব। আজ তাহলে এ পর্যন্তই। আবারও চলে আসবো নতুন কোনো রেসিপি নিয়ে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ছবিঃ সাটারস্টক

The post দই কাবাব appeared first on Shajgoj.



from Shajgoj https://ift.tt/GCpXF3Y
Arfatun Nabila

Comments

Popular posts from this blog

রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা | সঠিক ইনার ওয়্যার কীভাবে সিলেক্ট করবেন?

রেগুলার ব্রা আর পুশ-আপ ব্রা, এই দু’টার মধ্যে আসলে পার্থক্য কী আর কখন কোনটা ইউজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো আমাদের অনেকেরই অজানা। আমাদের অ্যাকটিভিটি আর আউটফিটের সাথে ইনার ওয়্যারেও ভ্যারিয়েশন আসে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে ওয়ার্ক আউট করছি, এরপর ভার্সিটি বা অফিসে যাচ্ছি, সন্ধ্যায় পার্টি অ্যাটেন্ড করছি। সব সময় কি আমরা সেইম ব্রা পরি? না তো! শাড়ি পরলে এক ধরনের ব্রা পরি, জিমে গেলে অন্য ধরনের ব্রা পরি, বাসায় থাকলে আবার আরেক রকম! কখন কোন ব্রা পরা উচিত বা কোন ড্রেসের সাথে কোনটা মানাবে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন আছে। এই বিষয়গুলো এখনও অনেকের কাছেই ট্যাবু। দিন বদলাচ্ছে, এই সামাজিক ট্যাবু থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সবাইকে। লঞ্জেরি মেয়েদের জন্য বেসিক একটি জিনিস। তাই লঞ্জেরির ক্যাটাগরিটা আমাদের জেনে রাখা উচিত। পুশ-আপ ব্রা কেন ইউজ করে, এটাই এখনও অনেক মেয়েরা জানে না! রেগুলার ব্রা এর সাথে সাথে নিজের কালেকশনে পুশ-আপ ব্রা কেন রাখা উচিত, সেটা কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না। চলুন এই কনফিউশনগুলো আজ দূর করা যাক। রেগুলার ব্রা vs পুশ-আপ ব্রা    বেসিক রেগুলার ব্রা-এর ক্ষেত্রে ফেব্রিক ম্যাটেরিয়াল ও কমফোর্টের বিষ...

বিবি ক্রিম vs সিসি ক্রিম | স্কিন টাইপ অনুযায়ী কোনটি আপনার জন্য স্যুইটেবল?

ন্যাচারাল মেকআপ লুকের জন্য এখন বিবি ক্রিম ও সিসি ক্রিম বেশ জনপ্রিয়। পার্টি মেকআপ বা ফুল কভারেজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন ইউজ করা হয়। কিন্তু যারা রেগুলার হালকা মেকআপ করে বাইরে বের হন, তাদের জন্য বেস্ট অপশন হচ্ছে BB বা CC ক্রিম । কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না যে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী কীভাবে রাইট প্রোডাক্টটি সিলেক্ট করতে হবে। এই দু’টি মেকআপ প্রোডাক্টের বেনিফিট বা কার্যকারিতা নিয়ে আজকের ফিচার। এগুলোর মধ্যে বেসিক ডিফারেন্সটা আসলে কোথায়, সেটাও জানা হয়ে যাবে। বিবি ক্রিম BB (Beauty Balm, Blemish Balm) ক্রিম স্কিনকে ইভেন টোনড করে এবং ব্লেমিশ হাইড করে ফ্ললেস লুক দেয় নিমিষেই। এতে স্কিন ময়েশ্চারাইজিং ও হাইড্রেটিং এলিমেন্টস থাকে, যার কারণে ড্রাই বা নরমাল স্কিনের জন্য এটি একদম পারফেক্ট। এর টেক্সচার ফাউন্ডেশনের থেকে লাইট, তাই কভারেজটাও হয় একদম ন্যাচারাল। মানে একদমই হেভি ফিল হয় না, আর স্কিনটাও পিকচার পারফেক্ট দেখায়। অনেক বিবি ক্রিমে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর বা SPF থাকে। সিসি ক্রিম CC (Color Corrector, Complexion Corrector) ক্রিমের ফর্মুলা লাইট ওয়েট ও লং লাস্টিং। ম্যাট ফর্মুলার হওয়াতে অয়েল...

লো পোরোসিটি চুল | কীভাবে চিনবেন এবং সঠিক যত্ন নিবেন?

একরাশ সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু অনেক সময় সঠিক যত্নের অভাবে সুন্দর চুলগুলো দিন দিন নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় ভুল হলো পোরোসিটি না বুঝে হেয়ার কেয়ার করা। এতে করে চুল আরো ড্যামেজ হওয়ার চান্স থাকে। আজকের ফিচারটি মূলত লো পোরোসিটি হেয়ার কেয়ার নিয়ে। লো পোরোসিটি চুল কীভাবে বুঝবো, কীভাবে যত্ন নিতে হবে, কী ব্যবহার করা যাবে ও যাবেনা ইত্যাদি বিস্তারিত জানবো আজকের ফিচারে। লো পোরোসিটি বলতে কী বোঝানো হয়? পোরোসিটি শব্দের বাংলা অর্থ হচ্ছে ছিদ্র। ত্বকে যেমন অসংখ্য পোর বা ছিদ্র থাকে, চুলের ক্ষেত্রেও কিন্তু তাই রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিটি চুলে অসংখ্য ছিদ্র বিদ্যমান, যার মাধ্যমে চুলে আর্দ্রতা প্রবেশ করে এবং চুল আর্দ্রতা ধরে রাখার চেষ্টা করে। একেই হেয়ার পোরোসিটি বলে। পোরোসিটি ৩ রকম, হাই, মিডিয়াম ও লো। এই হেয়ার পোরোসিটির মাত্রা প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। লো পোরোসিটির চুলগুলো কম ছিদ্র সম্পন্ন হয়ে থাকে। লো পোরোসিটি চুলের কিউটিকল লেয়ার খুব শক্ত ভাবে সংযুক্ত থাকে। যার ফলে এ ধরনের চুল আর্দ্রতা সহজে গ্রহণ করতে পারেনা, তবে একবার আর্দ্রতা গ্রহণ করলে এ ধরনের...